তিনি বলেন, ‘খাদ্য ঘাটতির জন্য পৃথিবীতে অনেক মাইগ্রেশন হয়েছে। খাদ্যের নিরাপত্তার জন্য অনেক যুদ্ধও হয়েছে। এদেশেও খাদ্য নিয়ে একসময় মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। ক্ষমতায় আসার পর খাদ্য সংকট দূর করাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল। যে কারণে আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে বাংলাদেশ ‘জলবায়ু পরিবর্তন: খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। সরকারও এ বিষয়ে অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যও সরকার অনেক কাজ করেছে। চাষিদের ঋণ দেয়াসহ নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
‘আমরা সারের দাম কমিয়েছি। কৃষকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছি। এজন্য কৃষিখাতে বিরাট পরিবর্তন হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তন এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিরাপদ ও পুষ্টি জাতীয় খাবারের নিশ্চয়তাও এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘তবে সেটাও আমরা করব। মানুষ যাতে পুষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পারে সেজন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি,’ বলেন তিনি।
দেশকে অস্থিতিশীল না করতে বিরোধী দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার আগে মানুষের নিরাপত্তা দরকার। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। ‘তাই আরেকটা নির্বাচন পর্যন্ত বিরোধী দলকে অপেক্ষা করতে হবে।’
আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) সভাপতি কাওসার রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইডিবিবি'র সভাপতি এ কে এম এ হামিদ। এসময় সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।